রুহুল আমিন, যবিপ্রবিঃ বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশিষ্ট্য হলো বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া। পৃথিবীর আনাছে কানাছে সম্মানিত শিক্ষার্থী ছড়িয়ে দেওয়া। নবীব বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় যেন সেই দায়িত্ব অক্ষরে অক্ষরে পালন করছে। দেশের মধ্যে খ্যাতি ছাড়িয়ে যবিপ্রবি এখন বিশ্বখ্যাতির অপেক্ষায়।
২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে ২০০৯ সাল থেকে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে আসছে যবিপ্রবি। দীর্ঘ এই এক দশকের যাত্রায় যবিপ্রবির প্রাপ্তীর ঝুলিও অনেক। তারমধ্যে অন্যতম হলো বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া।
ভৌগলিক, সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিক ছাড়া বিভিন্ন কারণে বিদেশ থেকে শিক্ষা গ্রহন করতে বাংলাদেশে আসেন শিক্ষার্থীরা।বিকল্প কিছু বৈশিষ্ট্যের কারণে যবিপ্রবিতে বাড়ছে বিদেশি শিক্ষার্থীদের পদচারণা।
বাংলাদেশ কেন শিক্ষা গ্রহনের জন্য পছন্দ করছেন জানতে চাইলে নাসিং বিভাগের নেপালি শিক্ষার্থী স্মৃতি চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের মধ্যে যবিপ্রবিতে নাসিংয়ের উপর বিএসসি ডিগ্রি দেওয়া হয়। এছাড়া নেপাল বা অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে শিক্ষা গ্রহনের জন্য খরচ কম। অন্যদিকে বাংলাদেশর সাংস্কৃতির সাথে নেপালের সাংস্কৃতির অনেক মিল রয়েছে। সবকিছু মিলেই আমি বাংলাদেশের যবিপ্রবিকেই শিক্ষা গ্রহনের জন্য বেছে নিয়েছি।
এসময় তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে পড়তে আসলেও আমি আমার দেশকে অনেক মিস করি। তাছাড়া প্রথমে এসে বন্ধু-বন্ধবের সাথে যোগাযোগ করতে অনেক সমস্যা হয়েছে। এখন মোটামুটি ভালোই লাগছে।
নাসিং বিভাগের অন্য নেপালী শিক্ষার্থী সুমাইয়া সিনজালি মাগার বলেন, আমার ইচ্ছা ছিলো বিদেশে পড়াশোনা করার। অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে শিক্ষার খরচ কম তাই আমি বাংলাদেশ কে বেছে নিয়েছি।
যবিপ্রবিতে কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মধ্যে এখানেই বিএসসি ডিগ্রি দেওয়া হয় তাই এখানে আবেদন করেছিলাম।
নতুন শিক্ষা বর্ষেও যবিপ্রবিতে পড়াশোনার জন্য এসেছেন বেশ কয়েকজন বিদেশি শিক্ষার্থী। এভাবেই বিশ্বদরবারে যবিপ্রবি তার নাম ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে।