মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলায় ছেলে অমল রায়ের (৪৮) মানিকগঞ্জে মৃত্যুর এক ঘণ্টা পর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন মা শোভা রায় (৮০)। ছেলের মরদেহ ধরে কাঁদতে কাঁদতে মারা যান তিনি। বৃহস্পতিবার (০৩ মার্চ) সকালে উপজেলার বয়ড়া ইউনিয়নের আন্ধারমানিক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে কাঁদতে কাঁদতে অজ্ঞান হয়ে পড়ায় শোভা রানীর আরেক ছেলের বউকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এক ঘণ্টার ব্যবধানে মা-ছেলের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার আন্ধারমানিক গ্রামের মৃত ননী গোপাল রায়ের স্ত্রী শোভা রায়। তার তিন ছেলের মধ্যে ছোট অমল রায় (৪৮)। দীর্ঘদিন অমল মরণব্যাধি ক্যান্সারে ভুগছিলেন। আজ সকাল সাড়ে ৬টার দিকে মারা যান তিনি। ছেলের মৃত্যুতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন শোভ রায়সহ পরিবারের লোকজন।
এ সময় ছেলের মরদেহ ধরে কাঁদতে থাকেন মা। ছেলের মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মায়েরও মৃত্যু হয়। অমলের মৃত্যু শোকে কাঁদতে কাঁদতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন শোভা রায়ের আরেক ছেলের বউ। পরে তাকে হরিরামপুর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
মৃত অমলের প্রতিবেশী হরিরামপুর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল হোসেন বলেন, অমল রায় ও তার ভাই বিমল রায়ের উপজেলার লেছড়াগঞ্জ বাজারে বাইসাইকেল মেরামত ও যন্ত্রাংশ বিক্রির দোকান রয়েছে। বেশ কিছু দিন ধরেই অমল ক্যান্সারে ভুগছিলেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ইমদাদুল হক শাহিন বলেন, ছেলের মৃত্যু শোক সইতে না পেরে সম্ভবত স্ট্রোক করে মায়ের মৃত্যু হয়েছে। এমন ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।