বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) সংহতি সমাবেশ ও মশাল মিছিল করেছে প্রগতিশীল নারী সংগঠন, নারীবাদী একটিভিস্ট ও ছাত্র সংগঠন।
রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে তারা এই সংহতি সমাবেশ করে। সমাবেশ শেষে সন্ধ্যায় সেখান থেকে একটি মশাল মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করে।
এসময় তারা ‘ধর্ষকদের রাষ্ট্র উচ্ছেদ করো’, ‘Women are not objects! GET OVER IT’, ‘সমাজের সর্বস্তরের নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করো’, ‘ধর্ষকদের পাহারাদার শেখ হাসিনার সরকার’, ‘শোনো বিচার হবে না কোন কারণ ধর্ষকরাই এদেশের রাজা’, ‘নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হটাও’, ‘Justice এখন জাদুঘরে’, ‘যে রাষ্ট্র ধর্ষণ করে সে রাষ্ট্র চাই না’ ইত্যাদি স্লোগানে প্ল্যাকার্ড হাতে নেয়।
সংহতি সমাবেশে মুশফিক আরা শিমুলের সঞ্চালনায় নারীবাদী একটিভিস্ট মার্জিয়া প্রভা, বাংলাদেশ সাম্যবাদী সংগঠনের সংগঠক জান্নাতুল মাওয়া, নারী মুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি সীমা দত্ত, চা-বাগান শ্রমিক আন্দোলনের নেত্রী খাইরুন আক্তার, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক প্রগতী বর্মণ তমা, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মিতু সরকার প্রমুখ।
সীমা দত্ত বলেন, বশেমুরবিপ্রবিতে সংঘটিত শিক্ষার্থী ধর্ষণ বক্তাদের পরিপ্রেক্ষিতে এটি কোনধরনের বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। ২০২০ সালেও করোনার ভায়বহ পরিস্থিতির মধ্যে দেশের ছাত্রসমাজ, নারী সমাজ, প্রগতিশীল মুক্তমনা নাগরিকরা ঐক্যবদ্ধভাবে ধর্ষণ ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিল। বাংলাদেশের সর্বত্র বিরাজমান ধর্ষণ প্রতিরোধে সরকার অহিংসনীতি প্রণয়ন করেছিল। কিন্তু তার কোনো কার্যকর প্রয়োগের দেখা মেলেনি আদৌ।
তিনি বলেন, শুধু আইন-নীতি প্রণয়ন করে ধর্ষণ প্রতিরোধ করা যায়নি। বরং ধর্ষণের শিকার ভুক্তভোগীদের বিচার চাইতে গিয়ে হয়রানি বেড়েছে আর ধর্ষকদের পরোক্ষভাবে আশ্রয় দিয়েছে সরকার।
বংলাদেশ ছাত্রমৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক দিলিপ রায় বলেন, স্বাধীনতার পূর্বে পাকিস্তান আমাদের বাঙালির ওপর যে ধরনের ধর্ষণ নির্যাতন করত আজ স্বাধীনতার পঞ্চাশে এসেও ধর্ষণের প্রতিবাদে আমাদের রাজুতে অবস্থান প্রতিবাদ করতে হচ্ছে। আজ বাংলাদেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি বিরাজমান। যেখানে যার জোর রয়েছে সে কোনো না কোনোভাবে নির্যাতন ধর্ষণ ইত্যাদি কর্মকাণ্ড করেই যাচ্ছে।